ভী.বালসারা আধুনিক বাংলা
গানকে সমৃদ্ধ করলেন
কাজী অনিরুদ্ধ, বটুক নন্দী, সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায়, ভী.বালসারা -- ষাটের দশকে এই নামগুলি ছাড়া কলকাতায় কোনো গানের অনুষ্টান শুরু হত না, সব ছিলেন জনপ্রিয় যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী -- বিভিন্ন রকমের গীটার, হারমোনিয়াম, একোর্ডিয়ান ইত্যাদি বাজিয়ে আমাদের মনোরঞ্জন
করতেন। বালসারা (১৯২২-২০০৫) এদের একজন হয়েও আলাদা ছিলেন - - বিবিধতা, ব্যাপ্তি ও
নিজস্বতায় -- বাজাতেন নানা রকমের বাদ্য যন্ত্র (পিয়ানো, উনিভক্স, মেলোডিকা, ইলেকট্রিক অর্গান, হারমোনিয়াম ইত্যাদি) আর তাতে সুর ধরতেন আধুনিক, রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের। অনেক অনেক রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়ে শুনিয়েছেন, কোনো ভালো বাংলা আধুনিক গানও ছাড়েন নি, হিন্দীর তো কথাই নেই, অন্যদের সাথে যুগলবন্দীও করেছেন (যেমন, শ্রী জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের হারমোনিয়ামের সাথে মিলিয়েছেন ওনার পিয়ানো, সমানে পাল্লা দিয়েছেন চন্দ্রনাথ শাস্ত্রীর
তবলার সাথে)। নচিকেতা ঘোষ, হেমন্ত
মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, অনিল বাগচী -- সব বড় বড় সঙ্গীত পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন।বালসারা জনপ্রিয়
যন্ত্রশিল্পী ও সুরকার ছিলেন, বাঙলা, হিন্দী ও অন্য প্রাদেশিক ভাষাতে কাজ করেছেন, ছায়াছবি ও তার বাইরে। রেডিও-তে পরিবেশন
তো করতেনই, বালসারার যন্ত্রসঙ্গীত
আকাশবাণী ও রেডিও সিলোন তাদের অনুষ্টানের শেষে
বাজাতেন, অবকাশে।
মুম্বাইয়ের এক পারসী গুজরাতী পরিবারে জন্ম হয় বালসারার। ছোটবেলা থেকেই পশ্চিমী সঙ্গীতের অনুরাগী ছিলেন, মায়ের কাছ থেকে হারমোনিয়াম শিখে মাত্র ৬ বছর বয়েসে মুম্বাইয়ের সি. জে. হল-এ হারমোনিয়াম বাজিয়েছিয়েন(সেই সময় প্যাডেল হারমোনিয়াম প্রচলিত ছিল), আর ১৬ বছর বয়েসে হিল্ডাফিল্ড নামের এক জার্মান সংগীতজ্ঞ শেখালেন পাঁচ রকমের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার।
আরো অনেক প্রতিভাবান তরুনদের মত বালসারাও সঙ্গীত পরিচালক হবার স্বপ্ন দেখতেন।
উস্তাদ মুস্তাক হুসেনের সঙ্গীত-সহকারী হলেন "বাদল"-এ (১৯৪২) -- ফিল্মিস্তান ষ্টুডিও-তে সহকারী হিসেবে সুযোগ
পেলেন গুলাম হায়দার ও খেমচান্দ প্রকাশের সাথে কাজ করার (“ফুল”-১৯৪৫, “সামা”-১৯৪৬, “হুমায়ুন”-১৯৪৫ ইত্যাদি)। শেষে
"সার্কাস গার্ল" (১৯৪৩) দিল সঙ্গীত পরিচালনের সুযোগ, পরের কয়েকটি বছরে, চল্লিশের শেষ ও পঞ্চাশের শুরুতে আরো কিছু হিন্দি ছায়াছবিতে গানের সুর ও দিলেন। HMV-তে ১৯৪৭-এ অর্কেস্ট্রা ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্তি নিয়েও সেটা ছাড়লেন রাজকাপুর
ফিল্মস-এ যোগ দেবার জন্য, পেলেন নৌশাদ ও
শঙ্কর-জয়কিসানের সহকারী হয়ে কাজের সুযোগ। বম্বে'র সিনেমার সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার শুরুতেই তার সেক্রেটারীও হলেন।
তথ্য অনুযায়ী, বালসারা কম করে বারোটা
হিন্দি ছায়াছবিতে প্রায় সত্তরের ওপর গানের সুর দিয়েছিলেন, তা ছাড়া আরও অনেক ছায়াছবিতে সঙ্গীত-সহকারীর কাজ করেছিলেন। বালসারার দেওয়া কয়েকটি হিন্দী গানের সুর খুব
জনপ্রিয় ছিল – “মেরা প্যার মুঝে লোটা দো” (তালাত মাহমুদ) ছায়াছবির গানের মতই লোকের মুখে মুখে ঘুরতো,
"মোরে নয়না শাওন
ভাদো" (লতা মঙ্গেসকর) ছিল অতুলনীয় একটি রাগাশ্রয়ী গান, আকাশবাণীতে শ্যামল মিত্র বালসারার সুরে হিন্দী সুগম সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। ছায়াছবির বাইরে বালসারার সুর দেওয়া গানে ওনার
সঙ্গীত কুশলতা বেশী করে উপভোগ করা যায়, তা সে গীতা দত্ত, তালাত মাহমুদ বা মান্না দের গাওয়া হোক।
বালসারার সুর দেওয়া হিন্দী গান *
|
||||
গান
|
ছায়াছবি
|
শিল্পী
|
গীতিকার
|
সন
|
তুম গীত শুনাও ম্যায় গাঁউ #
|
শ্যামল মিত্র
|
রাম বালী
|
||
আবাদ রহো মেরে দিলকো
জ্বালানেবালে @
|
মুকেশ
|
মধুকর রাজস্থানী
|
||
গায়ে গায়ে গা @
|
গীতা দত্ত
|
|||
ইয়ে হাওয়া ইয়ে ফিজা @
|
গীতা দত্ত
|
|||
যাদ ফির আয়ী @
|
মান্না দে
|
চন্দ্রশেখর পান্ডে
|
||
ইয়ে আওয়ারা রাতে @
|
মান্না দে
|
|||
হমনে কিসী কি আঁখ
মে @
|
তালাত মাহমুদ
|
ভারত ব্যাস
|
||
মেরা প্যার মুঝে লোটা দো @
|
তালাত মাহমুদ
|
সজ্জন
|
১৯৫০
|
|
রাত অন্ধেরী দূর কিনারা @
|
তালাত মাহমুদ
|
ভারত ব্যাস
|
||
বৈঠী আশ লাগাকে @
|
তালাত মাহমুদ
|
সজ্জন
|
||
মেন দুখকী রাত হুন @
|
তালাত মাহমুদ
|
সজ্জন
|
||
মো সে রুঠ গেও বনবওয়ারী
|
বিদ্যাপতী
|
মহম্মদ রফি
|
প্রল্হাদ শর্মা
|
১৯৬৪
|
মোরে নয়না শাওন ভাদো
|
বিদ্যাপতি
|
লতা মঙ্গেশকার
|
১৯৬৪
|
|
কব বীত গই জীবন
|
মদমস্ত
|
লতা মঙ্গেশকার
|
মধুরাজ
|
১৯৫৩
|
সুনায়ে হাল এ দিল কেয়া হম
|
মদমস্ত
|
লতা মঙ্গেশকার
|
মধুরাজ
|
১৯৫৩
|
কিসী কে জুল্ম কি তস্বীর হায়
|
মদমস্ত
|
মহেন্দ্র কাপুর ও ধন ইন্দরবালা
|
মধুরাজ
|
১৯৫৩
|
ম্যায় লাল পান কি
বেগম হু
|
মদমস্ত
|
সমসাদ বেগম ও এস.ডি.বাতিস
|
যে.সী.পন্ত
|
১৯৫৩
|
উন্হে দেখে তো বহ মুখ ফেরকর
|
মদমস্ত
|
এস.ডি.বাতিস ও মহেন্দ্র
কাপুর
|
১৯৫৩
|
|
সুলাগ রাহী হায় হুসনকি সিগ্রী
|
মদমস্ত
|
মহম্মদ রফি
|
১৯৫৩
|
|
চাল অনোখী ঢং
নিরালে
|
মদমস্ত
|
আশা ভোসলে
|
মধুকর রাজস্থানী
|
১৯৫৩
|
তু নে জিন্দেগী মে আগর এক বার
|
মদমস্ত
|
মহম্মদ রফি
|
মানভ
|
১৯৫৩
|
আকাড কে কাহা চলে
|
প্যার
|
মহম্মদ রফি
|
প্রল্হাদ শর্মা
|
১৯৬৯
|
আধিরাত সাথ মেরা ছোড়া
|
প্যার
|
মহম্মদ রফি
|
প্রল্হাদ শর্মা
|
১৯৬৯
|
জয় জয় হিন্দুস্তান
|
কুরবানী
|
মান্না দে
|
১৯৫২
|
|
রুঠ কার যাতে কাঁহা সনম
|
জয় বাবা বৈদ্যনাথ **
|
মহম্মদ রফি
|
১৯৭৯
|
|
রহোগে কবতক হামসে
দূর
|
বহি লেডকি
|
মহম্মদ রফি
|
প্রল্হাদ শর্মা
|
১৯৬৭
|
তুমে ক্যা কিয়া ভগবান
|
তালাশ
|
ধন ইন্দরবালা, কবিতা, গান্ধারী
|
শ্রী রাম সাজ
|
১৯৫২
|
আও জী আও দেখ কে যাও
|
চার দোস্ত
|
১৯৫৬
|
||
ধরতী সে দূর দূর
|
চার দোস্ত
|
১৯৫৬
|
||
আজ হম তুম হ্যায়
|
যোগী অউর জবানী
|
আশা ভোসলে
|
১৯৭০
|
|
দরিয়া
এ দিল মে
|
যোগী অউর জবানী
|
আশা ভোসলে
|
১৯৭০
|
|
বাজ রাহী প্রেম কি বাঁসুরী
|
যোগী অউর জবানী
|
সুমন ও মনহর
|
১৯৭০
|
|
ও ইয়ে হোতা
না হায় ও রামা
|
যোগী অউর জবানী
|
মনহর
|
১৯৭০
|
|
* অন্য
যে সব হিন্দি ছায়াছবিতে বালসারা সুর দিয়েছিলেন: ও পন্ছী (১৯৪৪), রঙমহল (১৯৪৮), আলীবাবা (১৯৭৩) -- বিশদ উপলব্ধ না হওয়ায় এই তালিকা থেকে হয়ত অনেক ছায়াছবি বাদ পড়ে গেছে, সম্ভাবনা বাতিল করার নয়।
|
||||
** বাকি গানগুলি (গীতিকার):
বডকে দেখ (অমর), লিখলাউন হ্যায় চিট্টি
(প্রল্হাদ শর্মা), শাবন আগণ (প্রল্হাদ
শর্মা), তোর গোর গোর অঙ (সোমদেব)
কাখান হারব দুখ মোর (?),মোহে দর্শন দাও অবিনাশী (প্রল্হাদ শর্মা), তুঝে কৌন
কহেগা দানী (প্রল্হাদ শর্মা), জয় জয় বৈদ্যনাথ গৌরীভর (?)
|
||||
#
আকাশবাণী রম্যগীতি @ ছায়াছবির গান
না
|
কিন্তু চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে বড় বড় সংগীতকারদের ভীড়, নতুনদের বিশেষ কোনো জায়গা পাওয়া খুব কঠিন ছিল এটা বুঝতে পেরেই বালসারা নিজের পেশা পরিবর্তন করলেন -- সঙ্গীত পরিচালনা না, যন্ত্র-সঙ্গীতবাদন ও তার পরিচালনার পথ বেছে নিলেন।
১৯৫৩-এ শ্রী জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ
আমন্ত্রণ দিলেন কলকাতার এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে, এসে দেখেন ভারতের বাঘা বাঘা
সব সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ এই শহরেরই লোক, স্থির করে ফেল্লেন এই শহরেই থাকার জন্য। বাপারটা অনেক তা
সেই নামা করা এক ফুটবল ক্লাব ছেড়ে অন্য
ক্লাব এ যাওয়া, মানে বম্বে টকিজ এর পরিবেশ
থেকে এসে পড়লেন নিউ থিয়েটার্স -এর জগতে।
তার পর থেকে পাকাপাকি ভাবেই রয়ে গেলেন এই শহরে। যুক্ত হলেন হিন্দুস্তান রেকর্ডস কোম্পানির
সাথে।ঊচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিলেন গয়ার মুনেস্বর
দয়ালের থেকে, মনোযোগ দিলেন রবীন্দ্র
সঙ্গীতে, রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুরাগী
হয়ে পড়লেন অল্প সময়েই। যদিও মাঝে মধ্যে হিন্দী গানের জগতে ঘুরতে গেছেন, ফাঁকে ফাঁকে অন্য ভাষায় কাজ
করেছেন - - আবহ সঙ্গীত দিয়েছিলেন ওরিয়া ছায়াছবি ঘর-সংসার (১৯৭৩), ভাই-বউজা (১৯৬৭) এবং মানিকজোড়ী-তে (১৯৬৩) সঙ্গীত পরিচালনা
করেছিলেন নেপালী ছায়াছবি আম্মা-তে (১৯৬৪), জেমস আইভরি'র ছায়াছবি "The Guru" –র (১৯৬৯)সঙ্গীতের ভার সামলেছিলেন - - কিন্তু, মধ্য-পঞ্চাশের পর থেকে বাংলা গানের জগতেই ব্যস্ত থাকতেন বালসারা।
প্রায় ৩০টি বাংলা ছায়াছবির সাথে যুক্ত ছিলেন বালসারা
- - কখনো অর্কেস্ট্রা-পরিচালক, কখনো সঙ্গীত-সহকারী কখনো আবহ সঙ্গীতে কিম্বা যন্ত্র-সঙ্গীত মিশ্রণে, কখনো সঙ্গীত পরিচালক
হিসেবে। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন শুভবিবাহ (১৯৫৯, শ্যামল গুহ ছিলেন অন্য পরিচালক), ছায়াসুর্য (১৯৬৩), যোগ-বিয়োগ (১৯৮৪), রুদ্রবীনা (১৯৮৭), পথ ও প্রাসাদ (১৯৯১), সজনী গো সজনী (১৯৯১) এবং দাহ (১৯৯৩) ছায়াছবিতে। তপন সিনহার ছবি "লৌহকপাট"-এ (১৯৫৭) শ্রী পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গীত-সহকারিতা করেছিলেন, নচিকেতা ঘোষকে সংগীতে
সহযোগীতা দিয়েছেন স্ত্রী (১৯৮২), স্বয়ংসিধ্হা (১৯৭৫),
ছুটির ফাঁদে (১৯৭৪) এবং মৌচাক (১৯৭৪) ছায়াছবিতে, আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সহকারী ছিলেন রাগ-অনুরাগ (১৯৭৫) এবং অগ্নিশর-এ (১৯৭৫) – এ ছাড়াও সঙ্গীত সহকারী ছিলেন আরো কিছু ছায়াছবিতে, যেমন রাজনর্তকী
(১৯৯১) এবং প্রতিশোধ (১৯৮১)। আবহ সঙ্গীত দিয়েছেন অনেক ছবিতে, যেমন: রাজা-সাজা (১৯৬০), শত্রু (১৯৮৪), ইন্দ্রজিত (১৯৯২), কথা ছিল (১৯৯৪) এবং পূজা (১৯৯৬)। মোহনবাগানের মেয়ে (১৯৭৬) ও জীবন সন্ধান-এ (১৯৯৭) যন্ত্র-সঙ্গীত মিশ্রনের দায়ীত্বে ছিলেন। শেষ বাংলা গানের সঙ্গীত পরিচালন (২০০৫)করেছেন ছায়াছবি
"তিল থেকে তাল"-এ ।
বালসারার বাংলা গানের মধ্যে -- যেথা রামধনু ওঠে
হেসে, তুমি সুন্দর যদি নাহি হও,
আয় খুকু আয়, টক্কা টরে টক্কা টরে, লাইন লাগাও -- খুবই জনপ্রিয় ছিল. আকাশবাণীতে
অনেক রম্যগীতির সুরকার ছিলেন যা পরিবেশন করতেন শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়রা।
রুমা গুহঠাকুরতা, সলিল চৌধুরী,
সত্যজিৎ রায় মিলে শুরু
করলেন "ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার"(১৯৫৮), গণসঙ্গীত প্রসারের জন্য -- আর তার জন্মলগ্নে
বালসারা সুর দিলেন শিবদাস বন্দোপাধ্যায়ের লেখা গান "আজও যত যুদ্ধবাজ"-এর,
শিল্পী রুমার
পরিচালনায় সবাই গাইল সেই গণসংগীত। আরও কিছু
গণসংগীতের সুর দিয়েছিলেন বালসারা।
বালসারার সুর দেওয়া
বাংলা গান
|
||||
গান
|
ছায়াছবি
|
শিল্পী
|
গীতিকার
|
সন
|
বলতে পারো এমন কেন হয়
|
পথে হলো দেখা
|
সন্ধ্যা
মুখোপাধ্যায়
|
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
|
১৯৬৮
|
চলো চলো মোরা চলে যাই
|
পথে হলো দেখা
|
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
|
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
|
১৯৬৮
|
যে কথা কলিকে
কানে বলে অলি
|
পথে হলো
দেখা
|
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
|
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
|
১৯৬৮
|
দুরে থেকো, তবু সুখে থেকো
|
সুদাম বন্দোপাধ্যায়
|
শিবদাস
বন্দোপাধ্যায়
|
||
আমার বসন্তের
পথ চাওয়া
|
সুদাম
বন্দোপাধ্যায়
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
চামেলী তুই বল আঁধারে
|
শ্যামল মিত্র
|
শ্যামল গুপ্ত
|
১৯৫৩
|
|
মন খোঁজে একটুকু বাসা #
|
বনশ্রী সেনগুপ্ত
|
মধু গুপ্ত
|
||
শুরুতে আমার শেষ হলো লেখা #
|
রিনি চৌধুরী
|
মিল্টু ঘোষ
|
||
তরীখানি ভেসে চলে #
|
শ্যামল মিত্র
|
শ্যামল গুপ্ত
| ১৯৫৫ | |
ছোট্ট একটা পাখী কিনে #
|
প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়
|
বাবু
গুহঠাকুরতা
|
||
জীবনের সাধ ছিল #
|
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
কোনদিন তুমি যদি দুরে চলে যাও #
|
শ্যামল মিত্র
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
ও দুটি কাজল কালো চোখে #
|
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
চাঁদ তুমি ঘুমাতে পার #
|
আল্পনা বন্দোপাধ্যায়
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
তরী ভেসে যায়
|
হেমন্ত
মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
আলোতে তুমি মধুর
|
রাতের আঁধারে
|
হেমন্ত
মুখোপাধ্যায়
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৫৯
|
আজ এত যুদ্ধবাজ
|
ক্যালকাটা
ইয়ুথ কয়্যার
|
শিবদাস
বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৫৮(?)
|
|
একটি নতুন গান
শুনবে বলে
|
শ্যামল মিত্র ও
ইলা বসু
|
শ্যামল গুপ্ত
|
১৯৬০
|
|
যদি ঝড় ভাঙ্গে ঘর
|
শ্যামল মিত্র ও
ইলা বসু
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
লাইন লাগাও
|
অপরেশ লাহিড়ী
|
শিবদাস বন্দোপাধ্যায়
|
||
এই দুনিয়া চিড়িয়াখানা
|
অপরেশ লাহিড়ী
|
শিবদাস বন্দোপাধ্যায়
|
||
আমি জন্মে শুধু
|
অপরেশ লাহিড়ী
|
শিবদাস বন্দোপাধ্যায়
|
||
টক্কা টরে টক্কা টরে, খবর এসেছে
|
অপরেশ লাহিড়ী
|
শিবদাস বন্দোপাধ্যায়
|
||
একটি চামেলীর প্রতি
|
শ্যামল মিত্র
|
শ্যামল গুপ্ত
|
||
শব্দ দিয়ে তৈরী
কথা নয়
|
ইউথ কোরাল
গ্রুপ (গণসঙ্গীত)
|
মিল্টু ঘোষ
|
১৯৭৭
|
|
এই উচ্ছল আর
চঞ্চল ভরা যৌবন
|
ইউথ কোরাল
গ্রুপ (গণসঙ্গীত)
|
মিল্টু ঘোষ
|
১৯৭৭
|
|
হাঁটি হাঁটি পা
পা, এক পা দু পা
|
নির্মলা মিশ্র
|
শিবদাস
বন্দোপাধ্যায়
|
||
আমি ভাবছিলাম
|
বাসবী নন্দী
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
সুন্দর বনে
সুন্দরী গাছ
|
বনশ্রী সেনগুপ্ত ও অন্যরা
|
অমিতাভ চৌধুরী
|
||
মন্দ বলে লোকে
|
মুকেশ
|
মিল্টু ঘোষ
|
||
ও ময়না রে
|
মুকেশ
|
মিল্টু ঘোষ
|
||
আঁধারে প্রদীপ
মোর
|
গায়ত্রী বসু
|
পবিত্র মিত্র
|
১৯৫৮
|
|
মন যেন তার সন্ধ্যাবেলা
|
তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
|
মিল্টু ঘোষ
|
||
কোকিল কি বনে বনে ডেকেছে
|
তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
|
মিল্টু ঘোষ
|
||
এত ভালোবাসি তবু কেন
এলোনা
|
অঙ্গীকার
|
প্রতিমা
বন্দোপাধ্যায় ও ধনন্জয় ভট্টাচার্য
|
১৯৬৬
|
|
বন্ধু রে, আকাশ জুড়ে রঙের খেলা
|
ইলা বসু
|
১৯৬৬
|
||
যেথা রামধনু ওঠে হেসে
|
তালাত মাহমুদ
|
শ্যামল
গুপ্ত
|
১৯৬৫
|
|
তুমি সুন্দর
যদি নাহি হও
|
তালাত মাহমুদ
|
শ্যামল গুপ্ত
|
১৯৫৯
|
|
আয় খুকু আয়
|
হেমন্ত
মুখার্জী ও শ্রাবন্তী মজুমদার
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
||
ওরে মন কোন দেশেতে
হয় রে এমন
|
আশায় বাঁধিনু
ঘর
|
হেমন্ত
মুখার্জী
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৬১
|
সেই পথে যাই চল
না
|
সতীনাথ
মুখোপাধ্যায় ও উৎপলা সেন
|
শ্যামল
গুপ্ত
|
||
চুপ চুপ আরো
আস্তে
|
বাসবী নন্দী
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
||
আমি ভাবছিলাম
|
বাসবী নন্দী
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
হে প্রভূ, দাও তুমি আলো
|
আহত পাখী *
|
হেমন্ত
মুখার্জী
|
শ্যামল
গুপ্ত
|
অপ্রকাশিত
|
কুচ কুচে কালো
সে জাতে স্পানিয়াল
|
রানু
মুখোপাধ্যায়
|
|||
এই হাওয়ায় কি
সুরভি ঝরে
|
রাতের অন্ধকারে
|
আশা ভোসলে
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৫৯
|
রাজার রাজা ওগো
তুমি
|
ও কে ?
|
উৎপলা সেন
|
পুলক
বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৬৫
|
আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে
|
ক্যালকাটা ইয়ুথ
কয়ার @
|
কুসুম কুমারী
দাস
|
||
বহু বছর ধরে
|
ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়ার @
|
শিবদাস বন্দোপাধ্যায়
|
১৯৮৩ (?)
|
|
যাকে তাকে মন
দেওয়া যায় না
|
বিশ্বজিত
চট্টোপাধ্যায়
|
শঙ্কর বোস
|
||
আমি একটু অন্য ধরনের মেয়ে
|
শ্রাবন্তী
মজুমদার
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
মা তোমায় ভালবাসি
|
শ্রাবন্তী মজুমদার
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
আমার বন্ধু ছিল
|
শ্রাবন্তী মজুমদার
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
চোখ দুটো অজান্তে উঠলো
কেঁপে
|
শ্রাবন্তী মজুমদার
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
কাটে না সময়
|
শ্রাবন্তী মজুমদার
|
পুলক বন্দোপাধ্যায়
|
||
ঠিক যেখানে চলতে
|
সাবিনা
ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
আয় আয়রে নাগিনী
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
ও রূপসা নদীর মাঝি রে
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
কিসের এত গরব
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
বন্ধু আসবে ঘরে
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
কোন নদীতে ডুব দিয়া
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
এক যে ছিল গল্প
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
লন্ডন প্যারিস দুবাই
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
রাম ও রহিম থেকে
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
আয় দেখে যা
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
শুনুন
শুনুন
|
সাবিনা ইআসমিন
|
রতন সাহা
|
||
@ রুমা গুহঠাকুরতা
ও অন্যরা # আকাশবাণী রম্যগীতি
|
"রাগা মুড" নামের ক্যাসেটে চমৎকার
অর্কেস্ট্রার বিন্যাস করেছেন নানান ভারতীয় রাগ-এর ওপরে, আর এক ক্যাসেটে সাধারনকে শিখিয়েছেন হারমোনিয়াম
বাজানো। আলীবাবা শ্রুতিনাট্যর
(প্রণব রায়ের নাট্যরূপ) সঙ্গীত
দিয়েছিলেন বালসারা। শ্রী কৃষ্ণের জীবনের অনেক অধ্যায় নিয়ে বানানো
ওরিয়া গানের এলবামের সুরকার ছিলেন বালসারা। সম্মানিত
হয়েছিলেন সঙ্গীত নাটক আকাদেমীর পুরস্কারে (ক্রিয়েটিভ ও এক্সপেরিমেন্টাল মীউজিক,
১৯৯৪), বিশ্বভারতীও
ডী.লিট্ -এ সম্মানিত করে ওনাকে। নানা রকমের বাদ্য
যন্ত্রের ওপর দখল, অর্কেস্ট্রা'র কুশল পরিচালনা, গানের সুর দেওয়া -- এই সব নানা গুনের জন্য এই মৃদুভাসী লোকটি সঙ্গীত মহলে
সকলেরই প্রিয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর
সারেগামা কোম্পানী দশটি হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় রাগের ওপর বাঁধা ওনার অর্কেস্ট্রার
একটা অ্যালবাম প্রকাশ করে, ওনার স্মৃতির সন্মানে।
আরও পড়ুন:
***** এই লেখা থেকে যদি কেউ তথ্য নিয়ে অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করেন, আশা করব স্বীকৃতি প্রদান করবেন।
Fantastic! This blog has become a treasure trove of Bengali music!
ReplyDelete