টেলিফোনে
"গীতশ্রী"দির সাথে কিছুক্ষন
অনুমান করতে
পারলাম
যে
খুব
নিয়মের
মধ্যে
থাকেন, পূজাপাঠ
ওনার
নিত্যকর্মের
অঙ্গ, এই
৮৫
বছর
বয়েসেও
কথায়
সপ্রতিভ, অতি
নিম্নস্বরে
কথা
বলেন, এত
মিষ্টি
লাগে
শুনতে
যে
বোঝাই
যায়
না
গান
গাইছেন
না
কথা
বলছেন।এই
হ'লো
আমাদের
"গীতশ্রী"
সন্ধ্যা
মুখোপাধ্যায়।
ডিসেম্বর
২০১৬-এর
প্রথম
সপ্তাহের
কথা
-- ২-৩ বারের
চেষ্টার
পর
ওনার
কাছে
টেলিফোনে
পৌঁছানোর
পর
প্রথমেই
খেদ
প্রকাশ
করলেন
প্রতীক্ষা
করানোর
জন্য।
আমার
জিজ্ঞাস্য
ছিল
ছোট্ট
একটি
কথা
-- "স্বপ্নভরা রাতের আকাশ
রয়
জেগে"
গানটি
কোন
ছায়াছবিতে
গেয়েছিলেন
(অসম্পূর্ণ
কিছু
তথ্য
থাকায়
এই
জিজ্ঞাসা)। টেলিফোন লাইন
বেয়াদপী
করছিলো, তাই
গানের
প্রথম
লাইনটার
সুর
করতেই
বলে
দিলেন
সেই
ছায়াছবির
নাম।
“কিন্তু ওই
ছবিতে
তো
গীতা
দত্তর
গান
ছিল”, আমি
একথা
বলায়
বললেন
-- "হসপিটাল" না, এটা
"হাসপাতাল"
ছবির
গান
ছিল
(পরে
অনুসন্ধানে
জানতে
পারি, দুটোই প্রায় সমসাময়িক
ছায়াছবি, কিন্তু
"হাসপাতাল"
অসম্পূর্ণই
থেকে
যায়, মুক্তি
পায়নি)।
কথায় কথায়
বললেন
পুরানো
দিনের
সংগীত
পরিচালকদের
কথা
(হাঁ, প্রত্যাশিতভাবে, রবীন চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নাম শুরুর
৫-৬'টা নামের
মধ্যেই
ছিল)। যেই সুরে
সুরে
বললাম
যে
ওনার
সেরা
গানগুলির
মধ্যে
আমার
বড়ো
পছন্দের
হলো
"এই
রাত
ওই
চাঁদ", জিজ্ঞাসা
করলেন, “তুমি
গান
শিখেছো"? উত্তরে
"না"
শুনে
বললেন,
"আচ্ছা, গানে
তোমার
প্যাশন
আছে, ভালো"। মনে
করিয়ে
দিলাম
১৯৬০-র দশকে
ওনার
খোলা
মঞ্চে
গানের
কথা
(অতি
সাধারন
বেশভূষা),
অনুযোগে জানিয়েও দিলাম
উনি
সব
সময়
দেরি
করে
আসতেন
বলেই
আমাদের
বাড়ি
ফেরার
শেষ
বাস
চলে
যেত
আর
আমরা
অনুষ্টান
শেষে
হেঁটে
হেঁটে
বাড়ি
ফিরতাম
(আসল
ব্যাপার
ছিল
এই
যে
ওনাকে
বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে
উদ্যোক্তারা
সবার
শেষে
গাইবার
জন্য
রাখতেন, এমনই
মনমাতানো
গায়িকা
ছিলেন)।
“আকাশবানীতেও
অনেক
গান
গেয়েছি, সম্প্রতি
ওরা
আমার
গানের
একটা
CD
বের
করেছে”। কথায়
কথায়
বললাম
মানবেন্দ্র
মুখোপাধ্যায়ের
সাথে
আকাশবাণীতে
গাওয়া
(১৯৬২?) সেই অতিপ্রশংসিত গান
"“জনশক্তির
প্রাণবন্যায়
নবযৌবন
ওরে
জাগলো” (কথা:
শ্যামল
গুপ্ত, সুর:
জ্ঞানপ্রকাশ
ঘোষ)
– বললেন, "হাঁ, সেটা "দেশবন্দনা"র গান
ছিল"।
এক প্রসঙ্গে ২-৩ জন
মহিলা শিল্পীর নাম করলেন যারা উঁচু স্কেলে গাইতে পারতেন।আমেদাবাদে
থাকি
শুনে
বললেন,
"আমি
আমেদাবাদে
একবার
গিয়েছিলাম"।বললেন, "সংগীত একাডেমী"র দায়িত্বভার আবারও নেবার
জন্য অনুরোধ এসেছে"।
প্রায় ২৫ মিনিটের সেই বার্তালাপ আমার বাকি
জীবনে কানে গুনগুন করবে।
***** এই লেখা থেকে যদি কেউ তথ্য নিয়ে অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করেন, আশা করব স্বীকৃতি প্রদান করবেন।
***** এই লেখা থেকে যদি কেউ তথ্য নিয়ে অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করেন, আশা করব স্বীকৃতি প্রদান করবেন।
No comments:
Post a Comment