Tuesday, January 3, 2017

স্বর্ণযুগের বরণীয় সুরকার শ্রী অনুপম ঘটক


স্বর্ণযুগের বরণীয় সুরকার শ্রী অনুপম ঘটক

এই লেখার প্রেক্ষাপট  সেই সময় যখন ভারতের ছায়াছবি ডাবিং নেপথ্য সংগীতের কারিগরীর সদ্য অভিজ্ঞতা পেয়েছে। সংগীত পরিচালক হিমাংশু-বড়াল-পঙ্কজ-তিমিরবরণরা হাত মিলিয়েছেন নীতিন বসু-দেবকী বসু-প্রমথেশ বড়ুয়া যেমন চিএ-নির্দেশকদের সাথে, নতুন বিনোদনের সৃষ্টিতে।গত শতকের সেই মধ্যে-তিরিশ দশকের পরিবেশে পালিত হয়েছিলেন এক অনুপম সংগীত পরিচালক, যাকে নিয়ে এই লেখা।


বাংলা হিন্দী, এই দুই ভাষায় গানের সুরকার রাইচাঁদ বড়াল পঙ্কজ মল্লিকদের উত্তরসূরীদের মধ্যে ময়মসিংয়ের (অধুনা বাংলাদেশ) শ্রী অনুপম ঘটক (১৯১১-৪৭) এক বিশিষ্ট নাম জীবনের শুরুতে বেতারে গান গেয়েছেন (১৯৩০), সুরকার বিষেণচাঁদ ("মহুয়া", ১৯৩৪) রাইচাঁদ বড়ালের ("বিদ্যাপতি", ১৯৩৭) সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সংগীত পরিচালক হিসেবে  প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর কলকাতা বোম্বে লাহোর ঘুরে বেড়িয়েছেন ছায়াছবির গানের সুর দিতে। হিন্দীতে প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন ছায়াছবি "টার্জান কী বেটী"-তে (১৯৩৮), যাতে নিজে গানও করেন। কিছু বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয়ও করেছিলেনমহুয়া (১৯৩৪), বিদ্রোহী (১৯৩৫) গৃহদাহ(১৯৩৬) একটি হিন্দী ছায়াছবির পরিচালনাও করেছিলেন (সাধনা, ১৯৩৯), নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন হিন্দী ছায়াছবি "ফায়সালা"(১৯৪৭)এবং বাংলা ছায়াছবি "কার পাপে"-তে  (১৯৫২) পাঞ্জাবীতেও ওনার গানের রেকর্ড আছে বলা হয়, পিয়ানো এবং বাঁশী নাকি খুব ভালো বাজাতেন।


গোটা কুড়িরও বেশি হিন্দী ছায়াছবিতে অনুপম সংগীত পরিচালনা করেছিলেন, বেশিরভাগই একমাত্র পরিচালক হিসেবে, বাকিগুলো লাচ্ছিরাম, অমরনাথ কমল দাশগুপ্ত যেমন সুরকারদের সাথে। অরুন কুমার মুখোপাধ্যায়ের (অভিনেতা অশোক কুমারের মামাতো ভাই)সাথে মিলে অনুপম শেষ হিন্দী ছায়াছবির সংগীত নির্দেশনা দিয়েছিলেন "সমসের"- (১৯৫৩), যেটা ওনার মৃত্যুর পর মুক্তি পায় প্রায় দুই ডজন বাংলা ছায়াছবিতেও সংগীত পরিচালন করেছিলেন -- বাংলা ছবি "পায়ের ধুলো"-তেই  (১৯৩৫) প্রথমবার এককভাবে সংগীত নির্দেশনা করেন।


সংবেদনশীল, প্রতিবাদী, ধ্বনী-উচ্ছল রোমান্টিক বা ভক্তিমূলক -- সব রকমের গানেই স্বচ্ছন্দে সুর দিয়েছেন অনুপম। "প্রিয়ার প্রেমের লিপি লেখনী তরে" কিংবা "জাগার সাথী গো"-তে পাবেন আত্মমগ্নতায় ডুবে যাওয়ার সুর,  একদম ভিন্ন স্বাদের "ওই হংস মিথুন চলে" চারণগীতির মতো শোনায়, স্বর্গীয় সুধায় ভরা"দীপ শিখাসম", বঞ্চিতের আর্তি মিশে ছিল "কাঙালের অশ্রুতে", বিরহের ক্লান্তিতে আচ্ছন্নশুকনো শাখার পাতা ঝরে যায়”-- "লিখিনু লিপিখানি প্রিয়তমারে" কিংবা "মনে কি পরে না প্রিয়া" চিরকালের স্মরণীয় আধুনিক বাংলা গানের তালিকায় থাকবে। "শাপমুক্তি" ছায়াছবিতে সুপ্রভা সরকার, শৈলা দেবী রবীন মজুমদার এক সাথে অনুপমবাবুর সুরে গেয়েছিলেন অজয় ভট্টাচার্য্যর লেখা "বাংলার বধূ", খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সেই গানজগন্ময় মিত্রের "অশ্রু মুকুতা কেন তোমার চোখে" কিংবা সুপ্রভা সরকারের মন যায় রে যায় ভেসে যায়স্বর্ণযুগের মেলোডীর চমৎকার সব নমুনা।


জগন্ময় মিত্র, সুধীরলাল চক্রবর্তী, সুপ্রভা সরকার, রবীন মজুমদার, সন্তোষ সেনগুপ্ত, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়,সতীনাথ মুখোপাধ্যায়,আল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায়  -- সেই যুগের নামকরা সব শিল্পী অনুপমের সুরে গেয়েছিলেন একের পর এক কালজয়ী আধুনিক গান


  

নিজের সুরে নিজের কণ্ঠে গাওয়া -- "শ্যামা মা তোর মুণ্ডমালা"





"শাপমুক্তি", "শ্রী তুলসীদাস" ইত্যাদি  ছবিতে অনেক সুন্দর গান উপহার দিলেও নিজের সৃজনী প্রতিভার সবটুকু মনে হয় ঢেলে দিয়েছিলেন "অগ্নিপরীক্ষা" সুর দিতে গিয়ে -- অতি জনপ্রিয় সে ছবির সব গান অগ্রদূত উত্তম-সুচিত্রাকে স্বীকৃতির নতুন শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলো।"গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু" নিজের কণ্ঠে অবসরে গাইবার চেষ্টা করেননি এমন মেয়ে-বৌ মনে হয় বাংলায় সে সময় কেউ ছিলই না, এমনি ছিল সে গানের আবেদন।


বেশ কয়েকটি "আগমনী" ভক্তিমূলক গান উনি নিজে গেয়েছেন, অন্যদের দিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। অনুপমের অকাল মৃত্যুর পরে তাঁর সুর দেওয়া কয়েকটি গান তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন দত্ত, শিপ্রা বসু, মাধুরী চট্টোপাধ্যায়রা রেকর্ড করেন


সমালোচকেরা  প্রশংসা করেছেন গানের সুর নিয়ে অনুপমের পরীক্ষা নিরীক্ষাযেমন, উল্লেখ করেছেন অনুপমের অনুউচ্চারিত সুরের প্রয়োগ "কে তুমি আমারে ডাকো") কিম্বা  সঞ্চারীতে গতানুগতিক আরোহনের বদলে অবরোহনের পথ চলার নিরীক্ষা ("নতুন অতিথি" -- "গানে মোর কোন ইন্দ্র ধনু"তে)

বিভিন্ন ছায়াছবিতে অনুপম ঘটকের সংগীত পরিচালনা
 সন  
বাংলা
  
হিন্দী
১৯৩৫
পায়ের ধুলো


১৯৩৬
কালপরিণয় 


১৯৩৮


টার্জান কি বেটী
১৯৩৯


ভোলে ভালেসার্ভিসেস লিমিটেড, সেবা সমাজ@,  লেডিস ওনলি, উস্কি তমন্না, সাধনা
১৯৪০
শাপমুক্তি

সিভিল ম্যারেজ
১৯৪১
মায়ের প্রাণ


১৯৪২
পাষান দেবতা

কর্ণার্জুন @
১৯৪৩


শ্রী রামানুজ
১৯৪৫


স্বর্গ সে সুন্দর দেশ হামারা @, চম্পা *
১৯৪৬


আই বাহার ***    বদনামী * কাঁহা গয়ে*    খুশ নসিব শালিমার **
১৯৪৭


আইসা কিঁউ, ফায়সলা**** 
১৯৪৮


বনজারে, বাহারে
১৯৫০
শ্রী তুলসীদাস


১৯৫১
অভিশপ্ত


১৯৫২
কার পাপে, সঞ্জীবনী


১৯৫৩


সমসের*****
১৯৫৪
কল্যাণী, অগ্নিপরীক্ষা


১৯৫৫
অনুপমা, দৃষ্টি, দেবী মালিনী,পরেশ


১৯৫৬
শঙ্করনারায়ণ ব্যাঙ্ক,  অসমাপ্ত, কীর্তিগড়, নাগরদোলা, একটি রাত


১৯৫৭
সুরের পরশে, একতারা,  মাধবীর জন্য, পরের ছেলে


অনেক ছায়াছবিতে একাধিক সুরকার থাকায় কোনো নির্দিষ্ট গানের সুরকার কে সেটা জানা নেই:
অন্য সুরকার - লাচ্ছিরাম তোমার      ** অন্য দুই সুরকার - লাচ্ছিরাম তোমার এবং অমরনাথ
*** অন্য সুরকার - অমরনাথ  **** অন্য সুরকার - কমল দাশগুপ্ত    ***** অন্য সুরকার - অরুন কুমার মুখোপাধ্যায়        @ সুরকার



আধুনিক  বাংলা গানের প্রখ্যাত সুরকারের এই সংক্ষিপ্ত বিবরণী একটি ছোট ঘটনা দিয়ে শেষ করছি রিহের্সাল হচ্ছে "অগ্নিপরীক্ষা" ছায়াছবির -- "গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু" হাওয়াইয়ান গিটার বাজাচ্ছেন শ্রী সমর দাস। গানের ওই বাণী "ইন্দ্রধনু" সংক্ষিপ্ত সুরের ছিল।অবসরের ফাঁকে সমর "ইন্দ্রধনু" দীর্ঘায়িত করে বাজানোর নিরীক্ষা করছেন গিটারে "~নু~~~~~~~" আওয়াজটা অনুপমের কানে যেতেই বললেন আবার বাজাতে। পছন্দ হলো অনুপমের সেই ধ্বনির রেশ, শিল্পী সন্ধ্যাকে বললেন সেই সুরেই "ইন্দ্রধনু" গাইতে। গল্পটা শোনা বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী শওকত হায়াত খানের কাছ থেকে।



অনুপম ঘটকের সুর দেওয়া বাংলা গান
গান
ছায়াছবি
শিল্পী
গীতিকার
সন
আজ শরতের চাঁদের তিথীতে (আগমনী)

অনুপম ঘটক+সত্য চৌধুরী+প্রতিভা সেন



শিউলি ঝরা অঙ্গন পথে (আগমনী)

অনুপম ঘটক+সত্য চৌধুরী+প্রতিভা সেন



নব নিলীমায়ে সাথী গাহে (আগমনী)

অনুপম ঘটক


চোখের জলে উমা মায়ের চরণ দুটি (আগমনী)

অনুপম ঘটক
জগৎ মিত্র

তুমি ছিলে তাই

সুধীরলাল চক্রবর্তী
শঙ্কর গুপ্ত

গান গেয়ে মোর দিন কেটে যায় 

সুধীরলাল চক্রবর্তী
তারক ঘোষ

কে বলে গাঁয়ের বধূর জীবনে

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

ঝড় আর ঝাপটের দুঃসহ দাপটে

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

তোমারে গান শুনিয়ে
রম্যগীতি (আকাশবাণী)
উৎপলা সেন
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

জানি তোমার সাথে দেখা হবে সাগর কিনারায় (ভাটিয়ালী)

অনুপম ঘটক

১৯৩২
তোমার গোপন কথা
শাপমুক্তি
রবীন মজুমদার
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
এক চাঁদ আজি সাত চাঁদ
শাপমুক্তি
সুপ্রভা সরকার
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
বাংলার বধূ (ভাগ )
শাপমুক্তি
সুপ্রভা সরকার+শৈল দেবী+রবীন মজুমদার
অজয় ভট্টাচার্য্য

১৯৪০
শুক কহে সারী
শাপমুক্তি
শৈল দেবী
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
যে পথে যাবে চলি
শাপমুক্তি
শৈল দেবী
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
একটি পয়সা দাও গো বাবু 
শাপমুক্তি
তৃপ্তি সেন
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
নয়নের ধারা মুছে যায়
শাপমুক্তি
সুপ্রভা সরকার
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
এই ধরণীর ধুলির তলে
শাপমুক্তি
রবীন মজুমদার
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
বনে নয় মনে
শাপমুক্তি
রবীন মজুমদার
অজয় ভট্টাচার্য্য
১৯৪০
এলে কেন প্রিয়

সুপ্রভা সরকার
তারক ঘোষ
১৯৪৪
মরমী গো  আজিও বুঝিলে নাকি

সুপ্রভা সরকার
তারক ঘোষ
১৯৪৪
একটি সেতুর বাঁধন

ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য্য
তড়িৎ কুমার ঘোষ
১৯৪৮
না ধরা দেবার ছলে

ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য্য
তড়িৎ কুমার ঘোষ
১৯৪৮
মন যায় রে যায় ভেসে যায়

সুপ্রভা সরকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৮
যতদিন তারা জ্বলিবে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৮
শুকনো শাখার পাতা ঝরে যায়

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৪৮
প্রিয়ার প্রেমের লিপি লেখনী তরে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৪৯
যে কথা পারিনা কহিতে

সুপ্রভা সরকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
বেনু বীনার দুটি সুরে

সুপ্রভা সরকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
বলো আঁধার নিবিড়ে কত আর রহিব বলো

সাবিত্রী ঘোষ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
মোর সিঁথি সীমান্ত

সাবিত্রী ঘোষ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
আকাশ মাটি ওই ঘুমালো

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
আমি যে তোমারি ওগো

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৪৯
আত্মসমর্পণে

উৎপলা সেন 
প্রচলিত
১৯৪৯
মা ডাক শোনে না (ভক্তিগীতি)

উৎপলা সেন 
প্রচলিত
১৯৪৯
হরিনাম লিখে দিও অঙ্গে (ভক্তিগীতি)

উৎপলা সেন 
শ্রী অভয় ব্রহ্মাচারী
১৯৪৯
জীবনে যে দীপ পারোনি জ্বালাতে

সন্তোষ সেনগুপ্ত
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
বুঝিবা ফুরালো রাত, প্রদীপ যে হলো

জগন্ময় মিত্র
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
কমল নয়নওয়ালে রাম
শ্রী তুলসীদাস         
জগন্ময় মিত্র+উৎপলা সেন
প্রচলিত
১৯৫০
আমি তনু চন্দন বাতি
শ্রী তুলসীদাস         
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫০
রামজী, রামজী          
শ্রী তুলসীদাস         
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
প্রচলিত
১৯৫০
মনে কি পরে না প্রিয়া
শ্রী তুলসীদাস         
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫০
লিখিনু লিপিখানি প্রিয়তমারে 
শ্রী তুলসীদাস  
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫০
দীপশিখা সম       

শ্রী তুলসীদাস         
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় + সাবিত্রী ঘোষ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
কাশী করওয়ত লেতা হ্যায়
শ্রী তুলসীদাস         
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়+অন্যান্য
তুলসীদাস
১৯৫০
বৈঠে বারমাণু রামু
শ্রী তুলসীদাস         
শচীন গুপ্ত
তুলসীদাস
১৯৫০
মেঘ মেদুর বরখারে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫০
শিলংয়ের পাইন বনে

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
অনুরূপা রায়

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
শেষ প্রহরের ভীরু নয়ন

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
একটি চোখের দু ফোঁটা জল

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
কবে বসন্ত আসিবে

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫০
কাঙালের অশ্রুতে যে রক্ত ঝরে

সাবিত্রী ঘোষ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫১
ব্যাথার বাঁশিতে নয়নের মনি

নীতা সেন
হীরেন বসু
১৯৫১
প্রভূ হে তুমি চন্দন সম

নীতা সেন
হীরেন বসু
১৯৫১
হায় আঁখি দুটি ওঠে কেন ছলকি

সুপ্রভা সরকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫১
মন যায় রে যায় ভেসে যায় 

সুপ্রভা সরকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫১
যাদের ওই অনেক আছে

সাবিত্রী ঘোষ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫১
হংস মিথুন চলে 

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫১
ভাঙা গড়া সারা বেলা
অভিশপ্ত
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫১
মোর সুন্দর স্বপ্ন ভেঙে গেছে

শচীন গুপ্ত
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫২
সারারাত জ্বলে সন্ধ্যা প্রদীপ

শচীন গুপ্ত
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫২
নব মেঘ নামে

বিনতা চক্রবর্তী
শৈলেন রায়
১৯৫৩
জাগার সাথী গো

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শৈলেন রায়
১৯৫৩
কত কথা প্রাণে জাগে

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শৈলেন রায়
১৯৫৩
মা যার আনন্দময়ী

অনুপম ঘটক
প্রচলিত
১৯৫৩
শ্যামা মা তোর মুণ্ডমালা

অনুপম ঘটক
প্রচলিত
১৯৫৩
ফুলের কানে ভ্রমর আনে
অগ্নিপরীক্ষা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
যদি ভুল করে ভুল মধুর হলো
অগ্নিপরীক্ষা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু   
অগ্নিপরীক্ষা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
কে তুমি আমারে ডাকো
অগ্নিপরীক্ষা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
জীবন নদীর জোয়ার ভাঁটায় 
অগ্নিপরীক্ষা
সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
আজ আছি কাল কোথায় রবো
অগ্নিপরীক্ষা
আল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৪
পাখি বলে কারে দেব গান

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শান্তি ভট্টাচার্য্য
১৯৫৫
ফুল সুন্দর চাঁদ সুন্দর
অনুপমা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৫
রাম ধনুকের স্বপ্ন  আঁকা
অনুপমা
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৫
অশ্রু মুকুতা কেন  তোমার চোখে

জগন্ময় মিত্র
শৈলেন রায়
১৯৫৫
পরান ফুলবনে বিহঙ্গ রে

জগন্ময় মিত্র
শৈলেন রায়
১৯৫৫
গানে তোমায় আজ ভোলাবো

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৫
বলে কুহু কুহু কোয়েলা
দৃষ্টি
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়+ শ্যামল মিত্র
প্রণব রায়
১৯৫৫
ফুল বলে চাহি দুলিতে
দৃষ্টি
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
প্রণব রায়
১৯৫৫
ফুলের কলি ঘুম যায়
দৃষ্টি
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
প্রণব রায়
১৯৫৫
বাঁশি ডাকে
একটি রাত
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৬
কাঁকন বলে শ্রীমতি তবে শোনো
একটি রাত
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৬
প্রদীপের শিখা কেন কাঁপে
একটি রাত
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৬
এতদিন পরে তোমার রথ 
শঙ্করনারায়ণ ব্যাঙ্ক
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৬
আমি শুধু ভাঙি, জানি না তো গড়িতে
দেবী মালিনী
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৫৬
তুমি গোকুলপতি শ্যাম
দেবী মালিনী
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
প্রণব রায়
১৯৫৬
কেন পত্র ব্যথা বাজে
একতারা
ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য্য
হীরেন বসু
১৯৫৭
চাই ভগবান  
একতারা
আল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫৭
রাই চলে আয়ানের ঘরে
একতারা
শ্যামল মিত্র
হীরেন বসু
১৯৫৭
আয় চলে আজ
একতারা
কৃষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়
হীরেন বসু
১৯৫৭
শ্যাম হে ঘনশ্যাম

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৭২
দুটি তারা হারা হয়ে

শিপ্রা বসু
হীরেন বসু
১৯৭২
পায়ে চলা পথ যেথায় গিয়েছে থেমে

অরুন দত্ত
শান্তি ভট্টাচার্য্য
১৯৭৫
শোনো কথা আজি এই রাতে

শিপ্রা বসু
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৫
বৌ কথা কও পাখী  কেন

মাধুরী চট্টোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৫
এই তুমি আমি একদিন চলে যাবো

মাধুরী চট্টোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৫
বরষার সিক্ত হাওয়া দুলিয়ে দিয়ে

মাধুরী চট্টোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৫
ব্যথা কিছু ছিল না

শিপ্রা বসু
শান্তি ভট্টাচার্য্য
১৯৭৫
শোনো কথা আজি

শিপ্রা বসু
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৫
পাখী উড়ে যা রে

অরুন দত্ত+হৈমন্তী শুক্লা
শ্যামল গুপ্ত
১৯৭৬
চাঁপাবনের চৈতী হাওয়া

অরুন দত্ত+হৈমন্তী শুক্লা  
শ্যামল গুপ্ত
১৯৭৬
কুহুর কবিতা পৃথিবী যে ওই শোনে

অরুন দত্ত
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৬
আমি যে প্রদীপ জ্বলিতেই শুধু পারি

অরুন দত্ত
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৯৭৮
আমার গান পড়বে তোমার মনে

তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পবিত্র মিত্র
১৯৭৯
যাও যাও দীপশিখা

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
শান্তি ভট্টাচার্য্য

আজ আসিতে আমার কাছে

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার






দুরন্ত তুমি বিদায়ের আগে কি ব্যথা

মাধুরী চট্টোপাধ্যায়
শান্তি ভট্টাচার্য্য

চোখের  জলে পূজবো এবার উমা  মায়ের চরণ দুটি

অনুপম ঘটক
জগৎ মিত্র
নানান সূত্র থেকে সংগ্রহ করা ওপরে গানের তালিকা সম্পূর্ণ বা সঠিক বলে দাবি  করা যাবে না  -- অনুপমের সুর  দেওয়া হিন্দি গানের তালিকা বানানোর চেষ্টা পরিত্যাগ করতে হয়েছে তথ্যের অভাবে।



আরও পড়ুন:



*****   এই লেখা থেকে যদি কেউ তথ্য নিয়ে অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করেন, আশা করব স্বীকৃতি প্রদান করবেন।

No comments:

Post a Comment