গাড়ীর নাম মাহাত্ম
যেমন আপনার নামই আপনার পরিচয়, তেমনি গাড়ীর নম্বর প্লেটও তার নাম, তার পরিচয় -- তার রেজিস্ট্রেশন বই হলো তার আধারকার্ড।
পশ্চিম বাংলার নম্বর প্লেট নিয়ে অন্য রাজ্যে ঢুকুন, ট্রাফিক পুলিশ এমন ভাবে আপনাকে দেখবে যেন আপনি গাড়ী চুরি করে পালাছেন ভিনদেশে। গুজরাটের ভাড়া ট্যাক্সি নিয়ে জয়পুর গেছিলাম, ট্রাফিক পুলিশ ড্রাইভারের সব কাজগপত্র ঘেঁটে কিছু গোঁজামিল না পেয়েও খসখস করে চালান খাতায় এক হাজার টাকার জরিমানা লিখে দিলো। কি কারণ ? ভাড়ার ট্যাক্সি ড্রাইভার কেন তাদের জন্য নির্দিষ্টকরা পোশাক ( সেটা কি জানি না) পড়েনি, সেই জন্য, মানে, সেই বাঘ-ছাগলের গল্প -- তুই জল ঘোলা করিসনি তো তোর বাপ বা ঠাকুরদা করেছে, তোকে আমি খাবই। বিভিন্ন রাজ্যে পরিবহন ও ট্রাফিকের আলাদা আলাদা কানুন, সবাই কি তার খোঁজ রাখে? সাধারণে জরুরী কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন, বীমা, PUC, রোড ট্যাক্স আর ড্রাইভিং লাইসেন্স) নিজের সাথেই রাখে, ভিনরাজ্যে গেলে বিশেষতঃ। কিন্তু হাজার কানুনে যে আপনি বাঁধা, সেটা জানেন কি ?
আহমেদাবাদে ঢোকার মুখেই পুলিশ চৌকি, জাতীয়সড়কের বাঁকে ওতপেতে বসে আছে পুলিশ, অন্য জেলার বা রাজ্যের নম্বর দেখলে ইশারাতে রাস্তার পাশে ডেকে নেবে, নানা কানুনে আপনাকে পরখ করবে, যদি ট্রাক হয় তবে কপালে আরও দুঃক্ষ, পুরা ট্রাক তল্লাশি করবে -- কিছু না পেয়ে নিখরচায় যেতে দেবে, এমনটা খুব কম হয়।
শুনেছিলাম, উদয়পুরে নাকি গুজরাটের গাড়িকে পাশ দিয়ে এগিয়ে যাবার পথ ছাড়ে না, পরে নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলাম, যা রটে তার কিছুটা তো বটে!
রক্তের সম্পর্ক বড় সম্পর্ক। ভিনরাজ্যে রাস্তায় আপনার গাড়ীর কোনো যান্ত্রিক বিভ্রাটে আপনার রাজ্যের কোনো গাড়ীর চালক দেখলে, তার থেকে সহায়তা পাবেন, কিছু পেট্রলের প্রয়োজনে, গাড়ীর টায়ার পাল্টাতে বা ওই জাতীয় কিছু প্রয়োজনে।
"নামে কি আসে যায়" যে বলেছিলো, তার গাড়ি ছিলোনা, তার কথা বাদ দিন, গাড়ীর বেলায় সেই কথা খাটে না।
No comments:
Post a Comment